স্বপ্নের বাংলাদেশ ডেস্ক ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৭:৩০
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রাপ্ত খেতাব ‘বীর উত্তম’ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর স্কাউট ভবনে আয়োজিত ৭২তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা)। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে জামুকা। এরপর গেজেট আকারে তা প্রকাশ করবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ।
এছাড়াও পাশাপাশি খন্দকার মোশতাকের নামও বাদ দেয়া হবে মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় স্মরণীয় ব্যক্তিদের তালিকা থেকে । একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম,মোসলেহ উদ্দিন ও রাশেদ চৌধুরীকেও রাষ্ট্রীয় খেতাব থেকে বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত বলেন, মুক্তিযুদ্ধে কার কত্টা অবদান সে ইতিহাস মুছে ফেলা যাবে না। জিয়াউর রহমান বা বঙ্গবন্ধু তাদের যোগ্য সন্মান দিতেই হবে । পঁচাত্তর আর একাত্তরকে গুলিয়ে দেখলে চলবে না। আত্মস্বীকৃত খুনিদের সাথে জিয়াউর রহমানের নাম জড়িয়ে কতিপয় চাটুকার কি করেছে তাতে ইতিহাসের কিছু আসে যায় না।
জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব নিয়ে এমন সিদ্ধান্তের সাথে দেশের প্রধানমন্ত্রী একমত হতে পারেন না বলেও উল্লেখ করেন উলফাত আজিজ।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তারা অবশ্যই প্রতিবাদ জানাবেন।
ওদিকে, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের গতকালের সভায় তিন সদস্যের একটি কমিটিও করা হয়েছে যা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের যে মদদদাতা রয়েছেন, তাদের চিহ্নিত করতে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে (চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য) । অন্য দুই সদস্য হলেন উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ ও সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।
প্রধান সম্পাদকঃ মোহাম্মদ আবুল বশির
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মনির হোসেন
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ৩৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫
মোবাইলঃ +৮৮ ০১৮১৩ - ৮১৮৬৯৬
ফোনঃ +৮৮ ০২ - ৫৫০১৩৯৩৯
ইমেইলঃ shwapnerbd@gmail.com