shopner bd
রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১২ চৈত্র ১৪২৯
×

চিরচেনা রূপে সমুদ্রসৈকত

  কক্সবাজার প্রতিনিধি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭:৫২

৪ দিনের অবকাশে চিরচেনা রূপে সমুদ্রসৈকত

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের পর শনাক্তের হার কমে এসেছে। মানুষ শান্তির খোঁজে বের হচ্ছে ঘর থেকে। এ কারণে কক্সবাজারে বাড়ছে পর্যটকের ভিড়। তবে সরকারি বিধিনিষেধ চলমান থাকলেও কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। পর্যটক থেকে শুরু করে সৈকতের ব্যবসায়ীরা মিলেমিশে একাকার।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সপ্তাহিক ছুটি, রোববার পার করে আবার সোমবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (মহান একুশে ফেব্রুয়ারি)। আর তাই রোববার ছুটি নিয়ে চার দিনের অবকাশ কাটাতে কক্সবাজার এসেছেন নানা শ্রেণি-পেশার বিপুল পর্যটক।

শনিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, সৈকত লোকে লোকারণ্য হয়েছে। আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের কারণে উবে গেছে করোনার কথা। তবে উত্তাল সাগরে ঢেউয়ের সঙ্গে খেলা করছেন পরিবারের সব সদস্য মিলে। এদিকে সতর্ক থাকতে বারবার পরামর্শ দিচ্ছেন লাইফ গার্ড কর্মীরা।

হঠাৎ করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত দুই মাস পর্যটক-শূন্য ছিল কক্সবাজার শহর ও সৈকত। তবে এমন দীর্ঘ ছুটি আবারও চিরচেনা রূপে মিলন ঘটিয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে। এ ছাড়া আগের তুলনায় প্রতিদিনই বাড়ছে পর্যটকের আনাগোনা। বিশেষ করে, সাপ্তাহিক ছুটির দুদিন পর্যটকের আগমন বাড়ে কয়েক গুণ।

ঢাকা থেকে আসা শাকিল নামের এক পর্যটক বলেন, করোনার কারণে অনেক দিন ধরে কোথাও যাওয়া হচ্ছিল না। করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় সপরিবার কক্সবাজার এলাম। কিন্তু এত মানুষ হবে যে ধারণাও ছিল না। দীর্ঘদিন পর এমন দৃশ্য দেখে বেশ ভালোই লাগছে।

এদিকে সৈকতে যখন উপচে পড়া ভিড়, তখন সৈকতে প্রবেশ পয়েন্টে চলছে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা মাইকিং। কিন্তু আগত পর্যটকদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই সেই নির্দেশনায়। সৈকতের বালিয়াড়িতেও একই অবস্থা। পর্যটক থেকে শুরু করে সৈকতের ব্যবসায়ীরা উদাসীন স্বাস্থ্যবিধি মানতে।

এক ব্যবসায়ী বলেন, এত মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটাও কঠিন। তবু চেষ্টা করছি মেনে চলার জন্য। তবে সব সময় মেনে চলাটাও সম্ভব হয়ে ওঠে না। মুখে কতক্ষণ মাস্ক লাগিয়ে রাখা যায়? বেশিক্ষণ রাখলে মনে হয় দম বন্ধ হয়ে আসছে।

তবে পর্যটকদের আগমন বাড়ায় স্বস্তিতে হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের মালিকরা। তারা বলছেন, সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তারা হোটেল পরিচালনা করছেন।

কক্সবাজার হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র আবু তালেব শাহ বলেন, সবকিছু এত দিন বন্ধ থাকার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা জড়তা চলে আসছে। আশা করছি, এই জড়তা কেটে উঠে সামনের দিকে ব্যবসায়িক পর্যটনের যে ক্ষতিটা হয়েছে, তা আমরা আস্তে আস্তে পুষিয়ে নিতে পারব।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে এবং সপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা কয়েক দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে আবারও পর্যটক-সমাগম বেড়েছে। এতে সৈকত ও পর্যটন স্পটে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। এরপরও কোথাও কেউ অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতির শিকার হলে পুলিশ বক্স, তথ্যকেন্দ্র বা ট্যুরিস্ট পুলিশ ভবনে এসে জানানোর অনুরোধ করেন এ কর্মকর্তা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র

প্রধান সম্পাদকঃ মোহাম্মদ আবুল বশির
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মনির হোসেন
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ৩৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫

মোবাইলঃ +৮৮ ০১৮১৩ - ৮১৮৬৯৬

ফোনঃ +৮৮ ০২ - ৫৫০১৩৯৩৯

ইমেইলঃ shwapnerbd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৮-২০২১ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।